মে মাস থেকে পুরোনো বাস তুলে নেওয়া শুরু হবে : উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
- আপলোড সময় : ২৯-০৩-২০২৫ ০১:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৩-২০২৫ ০১:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পরিবেশ ও বায়ুদূষণ রোধে চলতি বছর মে মাস থেকে পুরোনো সব বাস ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালের মে থেকে ধাপে ধাপে পুরোনো সব বাস তুলে দেওয়া হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।
গত বৃহ¯পতিবার ভোরে কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনের পাশে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় বিপুল পরিমাণ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যায় এবং ঢাকার মতো দূষিত শহরগুলোতে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বায়ুদূষণ শুধুই পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি মানবিক সংকট। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোকে ইটভাটা মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এ আলোচনা সভায় আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কার্যকর আঞ্চলিক পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। তাই, এ সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক আলোচনার গ-ি পেরিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি।
বাংলাদেশের বায়ুদূষণ সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় বায়ুমান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই আইনি বিধিমালায় দূষণকারী খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মানদ- নির্ধারণ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে ছিল, তবে এখন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো মানুষের দূষণজনিত ঝুঁকি কমানো ও পরিষ্কার বায়ুর দিন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, পরিবেশ ও জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন ও শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ